টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) : গোপালগঞ্জে প্রতি কেস (৩০) ডিমের দাম কমেছে ৬০ টাকা। সে হিসেবে ডিম প্রতি কমেছে ২ টাকা। জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ডিমের দাম কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জের খুচরা বাজারে আজ সোমবার প্রতি কেস ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে। পাইকারী বাজারে প্রতি কেস ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে হঠাৎ করে প্রতি কেস ডিমের দাম ৩৬০ টাকায় উঠে যায়। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিমও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযানে নামে। এরপর রোববার থেকে ডিমের দাম কমতে শুরু করে।
গোপালগঞ্জ শহরের ডিম ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিকদার বলেন, গত সপ্তাহে হঠাৎ করে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি কেস ডিমের দাম ৩৪০ টাকা করে দেয়। ডিম পরিবেশকরা আমাদের কাছে ৩৫০ টাকা দরে প্রতিকেস ডিম সরবরাহ শুরু করে। ফলে বাজারে প্রতি কেস ডিম ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে শুরু করে। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । পরে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। মোবাইল কোর্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন। রোববার থেকে ডিমের দাম কমেছে। প্রতিকেস ডিম আমরা পাইকারী ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এছাড়া প্রতিকেস ডিম খুচরা বাজারে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ওই ব্যবসায়ী।
ওই ডিম বিক্রেতা আরো জানান, জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কারায় দ্রুত ডিমের দাম কমেছে।
ডিম ক্রেতা রহিমা বেগম (৫৮) বলেন, সরকার সচেষ্ট ও আন্তরিক থাকলে এভাবে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। কারণ সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীরা কোন কারণ ছাড়াই কোন কোন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটে নিচ্ছে। এদিকে সরকার মনিটরিং বৃদ্ধি করলে আমাদের মতো ক্রেতারা সুফল পাবেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান বলেন,ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা শুক্র ও শনিবার গোপালগঞ্জে মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। মোবাইল কোর্টে অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রির দায়ে ৬ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। এছাড়া জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এসব কারণে বাজারে ডিমের দামে প্রভাব পড়েছে। ইতিমধ্যেই ডিমের দাম কমেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।